
বাংলাদেশের মোট জনসংখ্যার এক-তৃতীয়াংশ তরুণ। এই তরুণরাই বাংলাদেশকে মডেল বাংলাদেশে রুপান্তরের চাবিকাঠি। কিন্তু তারুণ্যের সাথে নীতি নির্ধারনীর কাছে পৌছতে পাড়ি দিতে হয় এক লম্বা পথ। বাংলাদেশের যুবসমাজ চায় তারা তাদের দাবি আর রাজপথে নয় বরং সংসদীয় আলোচনার মাধ্যমে দেশের নির্বাহী বিভাগের কাছে পৌছাতে চায়।
বাংলাদেশের সেই লাখো তরুণের প্রতিনিধি হিসেবে গতকাল ১৮ আগষ্ট ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ বাংলাদেশ যুব ছায়া সংসদ এর সেক্রেটারিয়েট যুব ও ক্রীড়া মন্ত্রণালয় এবং শ্রম ও কর্ম সংস্থান মন্ত্রণালয়ের মাননীয় উপদেষ্টা আসিফ মাহমুদ ভূইয়াঁর সাথে ❝ছাত্র-জনতা গণঅভ্যুত্থানের মাধ্যমে অর্জিত নতুন বাংলাদেশে যুব সংসদ প্রতিষ্ঠার প্রস্তাবনা❞ নিয়ে একটি গুরুত্বপূর্ণ বৈঠক করেছে। বৈঠকে আমাদের তথা বাংলাদেশ যুব ছায়া সংসদ এর উদ্দেশ্য ছিল যুব সমাজের সামনে একটি নতুন দিগন্ত উন্মোচন করা এবং তাদের ক্ষমতায়ন নিয়ে আলোচনা করা। তথা বাংলাদেশের রাষ্ট্রীয় কার্যক্রম, বিশেষতঃ দেশ পরিচালনায় কী ধরণের নীতি ও কৌশল গ্রহণ করা প্রয়োজন সে বিষয়ে যুবসমাজের মতামত নেয়া এবং তাদের সক্রিয় অংশগ্রহণের সুযোগ সৃষ্টির প্রয়াসে আলোচনা অনুষ্ঠিত হয়।
বাংলাদেশ যুব ছায়া সংসদ এর স্পীকার আমান্না জাহান বিভা মাননীয় উপদেষ্টাকে জানান বিগত ১০ বছর (২০১৪-বর্তমান) দেশের যুবকদের ক্ষমতায়ন এবং নেতৃত্বের বিকাশে বাংলাদেশ যুব ছায়া সংসদ একটি গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে আসছে। তিনি মাননীয় উপদেষ্টাকে ❝বাংলাদেশ যুব সংসদ❞ প্রতিষ্ঠা করার প্রস্তাবনা রাখেন এবং বাংলাদেশ যুব সংসদ এর গুরুত্ব তুলে ধরেন। তিনি আরও বলেন অর্ন্তবর্তীকালীন সরকারের পক্ষ থেকে যদি ❝বাংলাদেশ যুব সংসদ❞ প্রতিষ্ঠার পদক্ষেপ নেয়া হয় তাহলে বাংলাদেশ যুব ছায়া সংসদ সর্বাত্মক সহযোগিতা করবেন।
পরিশেষে মাননীয় উপদেষ্টা আসিফ মাহমুদ সজীব ভূঁইয়া বাংলাদেশ যুব ছায়া সংসদের প্রস্তাবনাকে সাধুবাদ জানিয়েছেন এবং অর্ন্তবর্তীকালীন সরকারের বর্তমান যে পদক্ষেপ গুলো রয়েছে সেগুলোর সাথে মিল রেখে সেখানে সর্বস্তরের যুবকদের অংশগ্রহণ নিশ্চিত করণে কাজ করবেন বলে জানান।

এই উদ্যোগের মাধ্যমে আমরা দেশের প্রতিটি যুবক-যুবতীকে এগিয়ে আসার আহ্বান জানাচ্ছি। আসুন, আমরা সবাই মিলে একটি শক্তিশালী, সুশিক্ষিত এবং দায়িত্বশীল তরুণ প্রজন্ম গড়ে তুলি।